করিডর নিয়ে যা বলছে সরকার, তার প্রতিটি কথার জবাব দিতে হবে: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাখাইন রাজ্যের জন্য যে করিডরের কথা বলা হচ্ছে, তা সত্যিই বিবেচনা করে বলা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “যদি সরকার বুঝে এই কথা বলে থাকে, তাহলে প্রতিটি কথার জবাব তাদের দিতে হবে।”

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মহান মে দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনের সামনে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই সমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দল।

আমীর খসরু বলেন, “যদি দেশে একটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার থাকত, তাহলে এমন জাতীয় নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে সংসদে আলোচনা হতো, জনগণের মতামত নেওয়া হতো। অথচ এখন কারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, কারা বৈঠক করছে, জাতি জানে না। এই অবস্থা কখনো মেনে নেওয়া যায় না।”

তিনি সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আজকে একদল সুবিধাবাদী শক্তি তৈরি হয়েছে—তাদের কোনো অবদান নেই, রাস্তায় তাদের দেখা যায়নি। অথচ এখন তারা ক্ষমতার মজা নিচ্ছে। তারা নির্বাচনেও যেতে চায় না। কারণ, সেক্ষেত্রে জনগণের নির্বাচিত সরকার আসবে, আর তখন তাদের সেই সুবিধা থাকবে না।”

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আমীর খসরু আরও বলেন, “গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে একেকদিন একেক কথা বলা হচ্ছে। কখনো বলে এটা ছাড়া নির্বাচন হবে না, কখনো বলে ওটা ছাড়া হবে না। প্রতিদিন তারা নতুন নাটক শুরু করছে। কারণ তারা এখন মজা করছে, স্বার্থসিদ্ধি করছে। কিন্তু এটা বেশিদিন চলবে না। জনগণের সামনে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “যারা অতীতে আন্দোলনে ছিল না, তারাই এখন বলছে, নির্বাচন না হলেই ভালো। তারা সুযোগ নিচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কাউকে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় মানবে না।”

বর্তমান সরকার শ্রমিক স্বার্থ উপেক্ষা করছে অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা রোডম্যাপে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা এবং পরিবার-সহ দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণমূলক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, আবুল হাশেম বক্কর, এরশাদ উল্লাহ, ইদ্রিস মিয়াসহ অনেকে।