ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল ও শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এবং তারা সরকারবিরোধী মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন:
-
নেত্রকোণা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হক সেলু আহমেদ (৪২)
-
সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য মো. মিরাজ (৩১)
-
ঢাকা শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম শাকিল (৩৪)
-
সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য আরিফুর রহমান (৩৮)
-
কাজী নজরুল ইসলাম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম (৩৬)
-
ইলিয়াছ মির্জা জাবেদ (৩০)
-
নাঈম (২১)
-
ছাব্বির হোসেন রাব্বি (২০)
-
রায়হান উদ্দিন রিহান (২২)
-
আবু বকর সিদ্দিক (২০)
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা শহরের মতিঝিলের শাপলা চত্বর এবং শেরেবাংলা নগরের শিশু মেলা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে শাপলা চত্বর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ১২০-১৫০ জন কর্মী সরকারবিরোধী মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের স্লোগান সংবলিত ব্যানারসহ আনোয়ারুল হক সেলু ও মো. মিরাজকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইদুল ইসলাম শাকিল, আরিফুর রহমান ও তারিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে, শেরেবাংলা নগরের শিশু মেলা মোড়ে তল্লাশির সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এই ঘটনায় ইলিয়াছ মির্জা জাবেদ, নাঈম ও ছাব্বির হোসেন রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে। এর পর, মোটরসাইকেলে আসা তাদের সহযোগীরা আরও ককটেল বিস্ফোরণের চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং রায়হান উদ্দিন রিহান ও আবু বকর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।