পাকিস্তান তেহরিক ই তালিবানের (টিটিপি) হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত যুবকের নাম ফয়সাল হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদর থানার কালিকাপুর ইউনিয়নে ছোট দুধখালী গ্রামে।
গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় পাকিস্তানী নিরাপত্তা বাহিনীর এক অভিযানে ১৭ টিটিপি সদস্য নিহত হয়। এর মধ্যে একজন ছিলেন বাংলাদেশি যুবক ফয়সাল। তার বয়স ২১ বছর বলে জানিয়েছে তার পরিবার। ফয়সালের বড় ভাই আরমান হোসেন ফয়সালের অস্ত্রহাতে পোজ দেয়া একটি ছবি দেখে নিশ্চিত করেন যে, ইনি তার ভাই।
আরমান দ্য ডিসেন্টকে জানান, ফয়সাল হিজামা সেন্টারে চাকরির জন্য দুবাই যাচ্ছেন জানিয়ে ২০২৪ সালের মার্চে দেশ ছাড়েন। গত কোরবানির ঈদের আগে তার সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হয় পরিবারের। তারপর থেকে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফয়সালের বাবা একজন ইলেকট্রিশিয়ান এবং বড় ভাই আরমান দারাজের ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করেন।
পাকিস্তান ভিত্তিক সাংবাদিক জাওয়াদ ইউসুফজাই টিটিপির সদস্যদের নিহত হওয়ার ঘটনাস্থলের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি জানান, পাকিস্তানের কারাক অঞ্চলে নিহতদের মধ্যে একজনের লাশ থেকে বাংলাদেশি আইডি কার্ড, টাকা এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে টিটিপির হয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত এক বাংলাদেশি ব্যক্তিও তার ফেসবুক একাউন্টে ফয়সালের ছবি পোস্ট করে তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বোমা হামলায় টিটিপির ৫৪ জন সদস্যের সঙ্গে আহমেদ জোবায়ের নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছিলেন।
দ্য ডিসেন্টের গত মে মাসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে অন্তত ৪ বাংলাদেশি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনার পর পাকিস্তানের টিটিপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গত জুলাই মাসে বাংলাদেশে অন্তত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ .