জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদের মধ্যে ২০টি পদের জয় লাভ করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। বাকি ৫টি পদের মধ্যে দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বিডিএস) প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
তবে, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল নির্বাচনে বর্জনের ঘোষণা দিলেও তাদের প্রার্থীরা কিছু ভোট পেয়েছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হল থেকে ফল ঘোষণা করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। তাদের অভিযোগ ছিলো ব্যাপক অনিয়ম, ভোট কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের কারণে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান পেয়েছেন ৬৪৮ ভোট এবং তিনি সম্মিলিতভাবে চতুর্থ স্থান লাভ করেছেন। এ ছাড়াও, তার জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী পেয়েছেন ৯৪১ ভোট এবং তিনি সম্মিলিতভাবে তৃতীয় স্থান লাভ করেছেন।
এদিকে, ৩৩৩৪ ভোট পেয়ে জাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের আরিফ উল্লাহ পেয়েছেন ২ হাজার ৩৯২ ভোট। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বিডিএস) সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল পেয়েছেন ১ হাজার ২১১ ভোট। ছাত্রদলের শেখ সাদী হাসান পেয়েছেন ৬৪৮ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম ৩ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আবু তৌহিদ মো. সিয়াম পেয়েছেন ১ হাজার ২৩৮ ভোট। ছাত্রদলের তানজিলা হোসাইন বৈশাখী পেয়েছেন ৯৪১ ভোট।
জাকসু নির্বাচনের ২৫টি পদের মধ্যে জিএস ও দুই এজিএসসহ ২০টি পদেই ছাত্রশিবির জয়ী হয়েছে।
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং ভোট গণনা শুরু হয়েছিলো রাত সোয়া ১০টা থেকে, যা শেষ হয় শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে। এরপর সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়।