বাংলাদেশের বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক) নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এই নির্বাচনী পদ্ধতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
ইশরাক হোসেন লিখেছেন, “একটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে কেন পিআর পদ্ধতির জন্যে মরিয়া হয়ে উঠতে পারে? এটি আমারও প্রশ্ন।” তিনি দুটি কারণে পিআর পদ্ধতিকে দেশের স্বার্থবিরোধী ও বিপজ্জনক হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রথমত, যদি একটি দলের সম্ভাব্য ভোটের পরিমাণ দেশের নিবন্ধিত ভোটারদের একটি ক্ষুদ্র অংশ হয়, তাহলে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় আসার সুযোগ তৈরি হতে পারে। এইভাবে তারা ক্ষমতা দখল করে দেশের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতে পারে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী রয়েছে, যারা দেশের ভৌগোলিক একতাকে বিভক্ত করার পক্ষে। এই গোষ্ঠী যদি পিআর সিস্টেমের মাধ্যমে সংসদে এসে বাংলাদেশের কোন অংশ আলাদা হওয়ার কথা বলে, তা কীভাবে ঠেকানো যাবে?
তিনি আরও জানান, “এখন প্রথম এবং দ্বিতীয় কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।” এখানে প্রতিবেশী দেশ ভারত, যে কোনও পদ্ধতিতে বাংলাদেশের ভেতরে প্রভাব বিস্তার করবে, এবং বিশ্বের অন্যান্য সুপারপাওয়ারও একই পথে চলতে পারে। তিনি বলেন, “আমি সাধারণ মানুষ, আমার কাছে হিসাবটা সোজা—যারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি, আজও তারা দেশ বিক্রি করছে।”
ইশরাক হোসেন শেষ পর্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ কোনও দালালদের কাছে রাজপথ ইজারা দেয়নি। দেশবিরোধী কাজ যারা করবে, তাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া হবে। দেশের জন্য জীবন দিয়ে দেবো, তবু একাত্তর আর চব্বিশ, এই দুই প্রজাতির রাজাকারদের হতে না অন্য যেকোনো দেশের দালালদের কাছে নত হব না ইনশাআল্লাহ।