জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, যেই সংবিধানে জনমানুষের মৌলিক চাহিদার কথা বলা হয় না, সেই সংবিধান তারা চাই না। তার মতে, আওয়ামী লীগের ফিরে আসা আটকাতে একটি নতুন সংবিধান প্রয়োজন।
গতকাল সোমবার, আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির আয়োজনে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কেমন সংবিধান চাই’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
তারিকুল ইসলাম আরো বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় নাই, যার ফলে গণপরিষদের দুইজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সংবিধানে স্বাক্ষর করেন নাই।”
তিনি ১৯৭২ সালে গণপরিষদ গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, “গণপরিষদ কেবল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন করা উচিত ছিল, তবে ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সরকারের অধীনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে এটি গঠন করা হয়েছিল। যার ফলে, আমাদের বর্তমান সংবিধান জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।”
তারিকুল ইসলাম আরও বলেন, “যেই সংবিধানে জনমানুষের মৌলিক চাহিদার কথা বলা হয় না, সেই সংবিধান আমরা চাই না। আওয়ামী লীগের ফিরে আসা আটকাতে নতুন সংবিধান লাগবে।” তিনি এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, ৫৪ বছর ধরে বাংলাদেশের সংবিধানে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ শব্দটি স্থান পায়নি, যা তার মতে অত্যন্ত দুঃখজনক।
এছাড়া, সেমিনারে তিনি বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নতুন, জনগণের চাহিদা এবং আশা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করে এমন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।