তারা বাংলাদেশ চায়নি, তারা নারীদের ধর্ষণে উৎসব করেছিল — এটাই জামায়াতে ইসলাম!

১৯৭১ সাল। রক্তমাখা এক ইতিহাসের জন্ম হয়েছিল সেদিন। এক জাতি অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়েছিল হাজার বছরের দাসত্ব ভেঙে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে। কিন্তু সেই যুদ্ধে যখন লাখো বাঙালি প্রাণ দিচ্ছিল পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে, তখন আমাদেরই কিছু বিশ্বাসঘাতক ইসলামের নামে ধর্মের মুখোশ পরে একাত্তরের নারকীয়তায় মেতে উঠেছিল।

তারা কে? তারা জামায়াতে ইসলাম।
তাদের পরিচয়? পাকিস্তানের পা-চাটা দালাল, যারা নারীদের ধর্ষণে উৎসব করেছিল, বুদ্ধিজীবী হত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছিল, আর বঙ্গবন্ধুর নামে বিষোদগার করতে করতে বাংলাদেশের মানচিত্র মুছে ফেলতে চেয়েছিল।

এই লেখা শুধুই ইতিহাস নয়। এই লেখা প্রতিটি সচেতন বাঙালির রক্তগরম করে দেওয়ার মতো বাস্তবতা।
আসুন জানি — জামায়াতে ইসলাম কেমন ছিল, কী করেছিল, কেন আজও এই দল ঘৃণিত, এবং কেন আমাদের প্রজন্মের উচিত তাদের অপরাধ ভুলে না যাওয়া।

বাংলাদেশ চায়নি জামায়াত — তারা চেয়েছিল পাকিস্তানের ধর্মীয় খোলসে বন্দি এক ‘উম্মাহ’

জামায়াতে ইসলামের মূল আদর্শ ইসলাম নয়, বরং রাজনৈতিক ইসলাম। তাদের প্রতিষ্ঠাতা মওদূদী বলেছিলেন — “গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ সবই হারাম।”
এই চিন্তাধারার অনুসারীরা কখনোই বঙ্গবন্ধুর ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ মেনে নিতে পারেনি। শেখ মুজিব বলেছিলেন, “আমি বাঙালি, আমি মুসলমান — কিন্তু আমার পরিচয় আগে আমি বাঙালি।”
এই কথাতেই জামায়াত গা জ্বালা করে উঠে। তারা চেয়েছিল — বাঙালি হোক পাকিস্তানি মুসলমান, ভাষা হোক উর্দু, এবং ভিন্ন মত হলেই শত্রু।

তাই ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসনের মধ্যে ১৬০টির বেশি পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, জামায়াত পাকিস্তানের পক্ষেই অবস্থান নেয়।
তারা বলল — “বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ইসলাম থাকবে না!”

এটাই তাদের ইসলাম! যেখানে ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড, নারী নিপীড়ন, গণহত্যা চলবে, তবু ধর্ম থাকবে।
কিন্তু যেখানে মানুষের অধিকার, ভাষা, সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলবে — সেখানে ‘ইসলাম নেই’!

🩸 যুদ্ধ নয়, তারা করেছিল বিশ্বাসঘাতকতা — বাঙালি নারীদের তুলে দিয়েছিল হানাদারদের হাতে

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে গঠিত হয়েছিল দুইটি জল্লাদ সংগঠন — আলবদরআলশামস। আর এই সংগঠনদ্বয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ

তাদের কর্মকাণ্ড কী ছিল?

  • মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা

  • নিরীহ গ্রামবাসীদের ধরিয়ে দেওয়া

  • বাঙালি নারীদের ধরে এনে পাকিস্তানি ক্যাম্পে তুলে দেওয়া, যেখানে তারা দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার হত

তারা ধর্ষণকে ‘পুরস্কার’ হিসেবে ব্যবহার করত। আলবদর বাহিনী কখনো নিজেই ধর্ষণে অংশ নিত, আবার কখনো ‘মুজাহিদ ভাই’দের সেবায় নারীদের সরবরাহ করত।

রাজশাহী, কুমিল্লা, নরসিংদী, সিলেট, খুলনা, বগুড়া— এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে জামায়াতের আলবদর বাহিনী নারীদের ওপর দানবীয় নির্যাতন চালায়নি।

এক মা চিৎকার করে বলেছিলেন,
“ওরা আমার মেয়েটারে ধরে ক্যাম্পে নিয়া গেছে… কদিন পর লাশ হইয়া ফিরল। কেউ ওরে খুন করেনি, বাঁচার আশা নষ্ট করে দিছিল।”

⚰️ ১৪ ডিসেম্বর: যেদিন জাতির ভবিষ্যৎকে কবর দিয়েছিল জামায়াত

বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে, ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ — ইতিহাসের এক কলঙ্কময় দিন।
এই দিনে জামায়াতের ছাত্রনেতারা আলবদর বাহিনীর নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, কবি, সাহিত্যিকসহ বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে হত্যা করে।

তারা চেয়েছিল:

  • “এই জাতি যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।”

  • “এই দেশের মানুষ যেন নিজের ইতিহাস ভুলে যায়।”

  • “এই দেশের ভবিষ্যৎ যেন বুদ্ধিহীন, অন্ধ, আর একদম পাকিস্তানমুখী হয়।”

খিলগাঁও, মীরপুর, রায়েরবাজার — এখনো কান্না করে সেই মাটিগুলো।
কেন করেছিল জামায়াত এমন?
কারণ তারা জানত — এই জাতি যদি চিন্তা করতে শেখে, তবে কখনোই ধর্মান্ধতায় বিশ্বাস করবে না।

🧕 নারীর সম্ভ্রম নিয়ে যারা খেলেছিল ধর্মের নামে — তাদের নাম জামায়াত!

ইসলামের নামে যারা কথা বলে, তারা যুদ্ধকালীন নারীদের সম্ভ্রম লুটে নিয়েছে।
তাদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি ক্যাম্পগুলো হয়ে উঠেছিল নারীদের জন্য মৃত্যুর আগের বিভীষিকাময় জাহান্নাম।
একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বলেছিলেন:

“ওরা নামাজ পড়ে, তারপর একেকটা মেয়ে ধরে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দেয়। তারপর সেই মেয়েটা আর কখনো ফেরে না।”

জামায়াত বলেছিল,
“বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ইসলাম থাকবে না।”
কিন্তু তারা নিজেই নারীর ইসলামি অধিকারকে পদদলিত করেছিল হায়েনার মতো আচরণ করে।
এটা কি ইসলাম?
না, এটা ছিল রাজনৈতিক ইসলাম নামের এক ভয়ঙ্কর প্রতারণা।

শেখ মুজিব: যিনি ছিলেন জামায়াতের চোখে শত্রু, কিন্তু জাতির জন্য ছিলেন বটবৃক্ষ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এক সাহসী নেতা।
তিনি বলেননি যে তিনি খলিফা হবেন, বা ইসলামি রাষ্ট্র বানাবেন —
তিনি বলেছিলেন:
“আমি বাংলার মানুষের জন্য দেশ চাই। যেখানে ধর্ম থাকবে, কিন্তু জুলুম থাকবে না।”

এই কথাটাই জামায়াতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।
তারা বঙ্গবন্ধুকে “ভারতের দালাল”, “ইসলামের শত্রু”, “ইহুদি-খ্রিস্টান প্রভাবিত” বলে অপপ্রচার চালায়।

কিন্তু সত্যি কী ছিল?

  • বঙ্গবন্ধু ছিলেন সবচেয়ে বড় মুসলমান — কারণ তিনি দানবীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।

  • তিনি নারীদের সম্মান চেয়েছিলেন।

  • তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অধিকার চেয়েছিলেন।

এই আদর্শ জামায়াত মেনে নিতে পারেনি — কারণ তাদের ইসলাম ছিল পাকিস্তানি বন্দুক আর ঘৃণার হাতিয়ার।

যুদ্ধ শেষ হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয় কি?

২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে।
এর ফল:

  • মতিউর রহমান নিজামী,

  • আলী আহসান মোজাহিদ,

  • কাদের মোল্লা,

  • দেলোয়ার হোসেন সাঈদী —
    এইসব জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ প্রমাণিত হয়।

তাদের মধ্যে অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
কিন্তু এর মানে এই নয়, তাদের আদর্শ মুছে গেছে।

তাদের দোসররা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ, ধর্মীয় মাহফিল, অনলাইন — সবখানেই আছে।
তারা নতুন প্রজন্মকে বোঝায়:
“মুক্তিযুদ্ধ ছিল ভুল। বঙ্গবন্ধু ভারতপন্থী ছিলেন।”

এটাই তাদের মূল ষড়যন্ত্র। তারা চাই চেতনা মুছে দিতে।


আজকের দায়িত্ব: ইতিহাস জানো, জামায়াতকে চেনো, ঘৃণা করো — ভুলে যেও না!

আজ ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে আমরা স্বাধীনতা ভোগ করছি।

  • আমরা চাইলে ফেসবুকে লিখতে পারি,

  • মেয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারি,

  • ভাষা নিয়ে গর্ব করতে পারি।

এই স্বাধীনতার মূল্য দিয়েছে লাখো শহীদ, শত শত ধর্ষিত নারী, পুড়ে যাওয়া গ্রাম, এবং বঙ্গবন্ধুর বলিদান।

এই ইতিহাস জানতে হবে।

জামায়াতে ইসলাম ছিল, আছে, এবং সুযোগ পেলে আবার বাংলাদেশের পেছন ছুরি মারবে।
তাদের চিনতে শিখো, ইতিহাস জানো, আর প্রতিবাদ করো।


শেষ কথা

জামায়াতে ইসলামের মতো বিশ্বাসঘাতকরা শুধু অতীতের অংশ নয়, তারা বর্তমানেও শত্রু।
তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা করাই সভ্যতা।
তাদের আদর্শের বিরুদ্ধে কলম ধরাই মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা।

তারা বাংলাদেশ চায়নি, তারা নারীদের ধর্ষণে উৎসব করেছিল — এটাই জামায়াতে ইসলাম।

ভুলে গেলে চলবে না।